হিমাচল প্রদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। রাজ্যের আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ১০টি জেলায় আগামী দিনগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এর মধ্যে কাংড়া, সিরমৌর এবং মন্ডী জেলায় রবিবার অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর, চম্বা, সোলান, শিমলা এবং কুল্লুতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ২৪ ঘণ্টায় যদি ১১৫.৬ মিলিমিটার থেকে ২০৪.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, তাহলে সেটিকে ‘অতি ভারী বৃষ্টি’ হিসাবে গণ্য করা হয়। আর ২০৪.৪ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে তা ‘অতি অতি ভারী বৃষ্টি’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
এই লাগাতার বৃষ্টিপাত এবং দুর্যোগের ফলে হিমাচল প্রদেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ জুন থেকে শুরু হওয়া মেঘভাঙা বৃষ্টি, ধস এবং হড়পা বান ইতিমধ্যেই প্রাণ কেড়েছে ৭২ জনের। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৪০ জন, এবং আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, “গত কয়েক দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪টি মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে। এতে বহু বাড়ি ধসে পড়েছে, অনেক ইমারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হড়পা বান ও ধসের কারণে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তথ্যে উঠে এসেছে, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই অবস্থায় রাজ্য প্রশাসন স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে নিযুক্ত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও অন্যান্য প্রশাসনিক বিভাগ।
সতর্কতা ও পরামর্শ:
স্থানীয় মানুষজনকে পাহাড়ি অঞ্চল এবং নদী-খাল কাছাকাছি না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পর্যটকদের জন্যও জারি হয়েছে সতর্কতা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই মুহূর্তে রাজ্যবাসীর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট এবং সহায়তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।