“আসছে মা, বাজছে ঢাক – দুর্গা পূজা ২০২৫”

দুর্গা পূজা ২০২৫ – বাঙালির হৃদয়ের উৎসব

দুর্গা পূজা মানেই বাঙালির প্রাণের উৎসব। এটি কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং একটি আবেগ, একটি মিলনের মুহূর্ত, একটি চিরন্তন সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ। প্রতি বছর যখন শারদীয়া হাওয়া বইতে শুরু করে, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে ওঠে, তখনই বোঝা যায় — মা আসছেন!

দেবী দুর্গার আগমন

দেবী দুর্গা শুধু শক্তির প্রতীক নন, তিনি মা। তিনি ভালোবাসা, সাহস, ও শুদ্ধতার মূর্ত প্রতীক। তিনি মহিষাসুরকে বধ করে অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন। দুর্গোৎসব আমাদের মনে করিয়ে দেয়, সত্য ও ন্যায়ের জয় সুনিশ্চিত।

প্যান্ডেল, প্রতিমা ও আলোয় সেজে ওঠা বাংলা

পূজার আগমনের মাসখানেক আগে থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয় প্রস্তুতি। পাড়ায় পাড়ায় উঠে যায় প্যান্ডেল, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মৃৎশিল্পীরা। শিল্প, সৃজনশীলতা আর ভাবনায় ভরপুর এই প্রতিমা ও মণ্ডপ গুলি যেন হয়ে ওঠে এক একটি জাদুকরী জগৎ।

আলো, রঙ, সাজ, আর ঢাকের আওয়াজে প্রতিটি রাস্তা, গলি, শহর ও গ্রাম হয়ে ওঠে উৎসবের মঞ্চ।

একতার বার্তা

দুর্গা পূজা কেবলমাত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয় — এটি সব শ্রেণি, সব ধর্ম, সব বয়সের মানুষের মিলনের এক বিরল মুহূর্ত। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান কিংবা অন্য যে কোনো ধর্মের মানুষ — সবাই মণ্ডপে এসে একসঙ্গে অংশ নেন আনন্দে।

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ফুচকা-চাউমিনের স্বাদ, নতুন জামা, সেলফি, এবং সারারাত ধরে ঠাকুর দেখা — এই সবকিছু মিলিয়ে পূজা যেন হয়ে ওঠে এক নতুন জীবন!

২০২৫ সালের পূজা — নতুন আশা, নতুন প্রস্তুতি

এই বছরও সবাই নতুন কিছু করতে চাইছে। অনেক ক্লাব পরিবেশবান্ধব প্রতিমা তৈরি করছে, কেউ আবার সামাজিক বার্তা দিচ্ছে থিমে। প্রযুক্তি আর ঐতিহ্যের মেলবন্ধনে দুর্গা পূজা হয়ে উঠছে আরও প্রাণবন্ত, আরও রঙিন।

উপসংহার

দুর্গা পূজা ২০২৫ আমাদের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, শক্তি ও সাফল্যের বার্তা। মা দুর্গার আশীর্বাদে দূর হোক সব দুঃখ-কষ্ট, আর জেগে উঠুক ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের এক নতুন ভোর।

শুভ দুর্গা পূজা!

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *