বৈজ্ঞানিক তথ্য যা আপনি জানেন না
বিজ্ঞান আমাদের চারপাশের জগতকে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে, কিন্তু এর অনেক তথ্য আমাদের অজানা থেকে যায়। আজ আমরা এমন কিছু চমকপ্রদ বৈজ্ঞানিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো, যা হয়তো আপনি আগে কখনো শোনেননি।
১. মানুষের দেহে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কোষের সংখ্যার চেয়ে বেশি!
আমরা নিজেদের দেহকে মানুষ বলেই চিনে থাকি, কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেহে থাকা মাইক্রোব বা ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা আমাদের কোষের সংখ্যার তুলনায় বেশি। অনুমান করা হয়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রায় ৩৯ ট্রিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া এবং ৩০ ট্রিলিয়ন মানব কোষ থাকে।
২. অক্টোপাসের তিনটি হৃদয় এবং নীল রক্ত থাকে
অক্টোপাস বা অক্টোপাসের মতো কিছু সামুদ্রিক প্রাণীর তিনটি হৃদয় থাকে—একটি হৃদয় শরীরে রক্ত সঞ্চালন করে এবং বাকি দুটি হৃদয় শ্বাসযন্ত্রে রক্ত পাম্প করে। এদের রক্তে হেমোসায়ানিন নামে একটি প্রোটিন থাকে, যার ফলে তাদের রক্ত নীল রঙের হয়ে থাকে।
৩. গাছেরাও “শব্দ” অনুভব করতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু গাছ তাদের আশেপাশে নির্দিষ্ট কম্পন বা শব্দ শুনতে পায় এবং সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানায়। উদাহরণস্বরূপ, গাছ যখন পানি প্রবাহের শব্দ শোনে, তখন তার মূল সেই দিকেই বাড়তে থাকে।
৪. মহাকাশে কান্না করলে চোখের জল গড়িয়ে পড়ে না
পৃথিবীতে কান্না করলে চোখের জল নিচে গড়িয়ে পড়ে মাধ্যাকর্ষণের কারণে। কিন্তু মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় চোখের জল গড়িয়ে না পড়ে এক জায়গায় ভেসে থাকে, যা চোখে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে।
৫. মৌমাছিরাও গণনা করতে পারে
গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছিরা ০ থেকে ৪ পর্যন্ত সংখ্যা বুঝতে পারে এবং তুলনা করতে পারে কোনটা বড় বা ছোট। তারা গণিতের প্রাথমিক ধারণা রাখে, যা ছোট মস্তিষ্কের প্রাণীর জন্য আশ্চর্যজনক।
৬. ঘুমের সময় মানুষ ঘ্রাণ অনুভব করতে পারে না
ঘুমিয়ে থাকার সময় মানুষের ঘ্রাণ গ্রহণ করার ক্ষমতা কার্যত বন্ধ থাকে। এই কারণে ধোঁয়ার গন্ধে ঘুম ভেঙে যাওয়ার চেয়ে আগুনের আওয়াজে জাগার সম্ভাবনা বেশি।
৭. প্লুটো একসময় সূর্যের কাছাকাছি ছিল
২০০৬ সালে প্লুটোকে গ্রহের মর্যাদা থেকে বামন গ্রহে রূপান্তর করা হয়। তবে অদ্ভুত বিষয় হলো, ১৯৭৯ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে প্লুটো সূর্যের চেয়ে নেপচুনের চেয়ে কাছাকাছি কক্ষপথে ছিল।
৮. অ্যান্টার্কটিকার বরফ নীল রঙের হতে পারে
অ্যান্টার্কটিকায় বরফ অনেক গভীরে চাপের কারণে এতটাই ঘন হয় যে আলো থেকে শুধু নীল রং প্রতিফলিত হয়। তাই অনেক পুরনো বরফের গ্লেসিয়ার নীল রঙের দেখা যায়।